Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the wordpress-seo domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/iphrcorg/dhakajobs.net/wp-includes/functions.php on line 6114
আইইএলটিএসের রিডিং মডিউলে ভালো করার উপায় -

অনেকের কাছেই আইইএলটিস রিডিং মডিউলকে সবচেয়ে কঠিন মডিউল মনে হয়। এই মনে হওয়া যে খুব দোষের কিছু; এমন না। বৈশ্বিকভাবেই রিডিং মডিউলে পরীক্ষার্থীদের গড় স্কোর অন্যান্য মডিউলের চেয়ে কম। এমনকি ইংরেজি যেসব জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা তাদের ক্ষেত্রেও একই বিষয় লক্ষ্য করা যায়।

রিডিং মডিউল কঠিন মনে হওয়ার পেছনে উক্ত মডিউলের প্রশ্ন কাঠামো যেমন কারণ হিসেবে কাজ করে, তারচেয়েও বড় কারণ হিসেবে কাজ করে পরীক্ষার্থীদের না পড়ার অভ্যাস। যে কারণে দেখা যায়, ইংরেজি যাদের মাতৃভাষা তাদের তুলনায় ভিন্ন ভাষাভাষীর জনগোষ্ঠী, যাদের পড়ার অভ্যাস আছে; তারা রিডিং মডিউলে ভালো স্কোর পেয়ে থাকেন।

আইইএলটিস রিডিং মডিউলে ভালো স্কোর পাওয়ার জন্য প্রথমত যে বিষয়ে দখল অর্জন করতে হবে, তা-হলো পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। পড়ার অভ্যাস ছাড়া রিডিং মডিউলে খুব একটা ভালো করা যায় না— কারণ রিডিং পরীক্ষায় মাত্র ১ ঘণ্টার ভেতর ৩টা প্যাসেজ পড়ে ৪০টা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। ৩টা প্যাসেজের শব্দ সংখ্যা হয় অনেক। এর সঙ্গে প্রশ্ন পড়ে উত্তর বের করার বিষয় তো আছেই, আছে উত্তরপত্রে উত্তর তোলার ব্যাপার। সেজন্য যাদের পড়ার অভ্যাস থাকে না, তাদের জন্য ৩টা প্যাসেজ পড়ে উত্তর দেওয়ার জন্য ১ ঘণ্টাকে ‘অমানবিক’ মনে হয়। ৩টা প্যাসেজ পড়া এবং উত্তর দেওয়ার জন্য ১ ঘণ্টা একদম ঠিক সময়, ‘অমানবিক’ আদতে দীর্ঘ সময় ধরে পড়ার অভ্যাস গড়ে না তুলে নিজের প্রতি অবিচার করা।

সেজন্য কেউ আইইএলটিস পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে, তার উচিত আগে থেকেই নিয়ম করে পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। আইইএলটিস একাডেমিক পরীক্ষার রিডিং মডিউলে যেহেতু বিভিন্ন গবেষণা বা নিরীক্ষাধর্মী প্যাসেজ দেওয়া হয়, তাই নিয়ম করে নানবিধ একাডেমিক পেপার, আর্টিকেল পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। এ ক্ষেত্রে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, দ্য গার্ডিয়ান ও বিজনেস ইনসাইডারের মতো ম্যাগাজিন-পত্রিকা পড়া যেতে পারে।

পড়ার অভ্যাসের সঙ্গে রিডিং মডিউলে ভালো করার জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন ধরনের যে প্রশ্ন আছে, প্রতিটি ধরনের জন্য আলাদা আলাদা কৌশল ব্যবহার করে প্রস্তুতি নেওয়া। প্রশ্নের ধরনের ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুতি নিলে যে সুবিধা পাওয়া যায় তা-হলো প্রতিটি ধরনের উপরই দখল অর্জন করা। আর প্রতিটি ধরনের ওপর সর্বোচ্চ দখল অর্জন হলে সামগ্রিকভাবে স্কোরও তোলা যায় অনেক ভালো।

রিডিং মডিউলে সাধারণত Matching, Mcq, Fill in the gaps, True/False/Not Given অথবা Yes/No/Not Given, Short Question, Illustration জাতীয় প্রশ্ন আসে। Matching আবার হতে পারে Matching Headings, Information, Features, Sentence Endings.

প্রতিটি প্রশ্নের ধরন আলাদা আলাদা হওয়ায়, ধরনগুলো সমাধানের উপায় এবং কৌশলও ভিন্ন ভিন্ন হয়।

যেমন Matching Headings ধরনটি অনেকের কাছে বেশ জটিল মনে হয়। এর কারণ এই প্রশ্নের ধরনটি সমাধানের জন্য পরীক্ষার্থীদের প্যাসেজে থাকা প্রত্যেকটি প্যারা পড়ে, এর জন্য একটি হেডিং বা টাইটেল বা শিরোনাম ঠিক করতে হয়। শিরোনাম যে নিজের থেকে লিখতে হবে তা না, প্রশ্নে দেওয়া থাকা অনেকগুলো শিরোনাম থেকে সঠিকটি বাঁছাই করে নিতে হবে।

পরীক্ষার্থীদের কাছে এ ধরনের প্রশ্ন জটিল মনে হয়, এর একটি কারণ পুরো প্যারা অর্থাৎ প্রায় ২০০-২৫০ শব্দ পড়তে হয় একটি শিরোনামের জন্য। যেখানে পূর্বেকার বলা শিক্ষার্থীদের পড়ার অভ্যাস না থাকা প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করে।

সেক্ষেত্রে Matching Headings সমাধান করার দক্ষতা অর্জনে যেসকল কৌশল এবং চর্চার প্রয়োজন পড়ে তা থেকে অন্য প্রকারের প্রশ্ন যেমন True/False/Not Given সমাধান করার কৌশল ও চর্চা কিছুটা ভিন্ন।

রিডিং মডিউলে ভালো করার জন্য দুটি বিষয় বেশ গুরুত্বপূর্ণ-পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং রিডিং মডিউলের বিভিন্ন ধরনের যে প্রশ্ন আছে, প্রতিটি ধরনের জন্য আলাদা আলাদা কৌশল ব্যবহার করে প্রস্তুতি নেওয়া।

লেখক : আখিউজ্জামান মেনন
সূত্র : ডেইলি স্টার

Facebook Comments Box